বিশ্বকে খুব কাছ থেকে দেখতে হেঁটে বিশ্বভ্রমণে বের হওয়া নেপালি তরুণ ইহ নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ শেষে গত ৩২ দিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা অতিক্রম করে অবশেষে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে পৌঁছেছেন।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে হেঁটে পঞ্চগড় শহরে পৌঁছান ইহ। এ দেশে তার সঙ্গী হিসেবে আছেন ভ্রমণবিষয়ক আলোকচিত্রী ও লেখক পর্বতারোহী হোমায়েদ ইসহাক মুন। এছাড়া বোদা উপজেলা থেকে ইহ‘র সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পঞ্চগড় সাইক্লিস্ট গ্রুপের লোকমান শেখ লিমন ও রাসেদ। বুধবার রাত পঞ্চগড়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের উদ্দেশে রওনা হয়ে দু‘দিনের মধ্যে শেষ করবেন হেঁটে বাংলাদেশ ভ্রমণ।

জানা যায়, ইহ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর থাপাথালি এলাকার বাসিন্দা। ছোট বেলা থেকেই ভ্রমণে আগ্রহী তিনি। শখের বসে সৃষ্টিকর্তার গড়া বিশ্বকে খুব কাছ থেকে দেখতে এ ভ্রমণে বেরিয়েছেন তিনি। কথা হয় নেপালি তরুণ ইহ‘র সঙ্গে। তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ শেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন তিনি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থেকে হাঁটা শুরু করেন তিনি।

এদেশে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা পর্যন্ত হাঁটার লক্ষ্য তার। গত ৩২ দিন বাংলাদেশ পায়ে হেঁটে ৯০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে পঞ্চগড়ে এসেছেন। আগামী দু‘দিনে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত গিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ শেষ করবেন ইহ। বাংলাবান্ধা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যাবেন তিনি। এ সময়টিতে হোমায়েদ ইসহাক মুনকে সঙ্গে পেয়ে তার অনেক ভালো লাগছে।

হোমায়েদ ইসহাক মুন বলেন, আমি যখন নেপালে এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে যাই, তখন পরিচয় হয় ইহ‘র সঙ্গে। এর মধ্যে তিনি বাংলাদেশে হাঁটার পরিকল্পনা করলে আমি তার সঙ্গী হই। আমি মির্জাপুর থেকে তার সঙ্গে হাঁটায় যোগ দিয়েছি। আজ আমার তার সঙ্গে চলার ১১ দিন হচ্ছে। এসময়ে আমরা হেঁটে পঞ্চগড় পর্যন্ত আসতে অনেক মজা করেছি। জানা যায়, ছোটবেলা ইহর ভ্রমণ করতে অনেক ভালো লাগতো।

সেই থেকে তার ভ্রমণ শুরু। এদিকে ১৪ বছর বয়সে তিনি স্কুল ছাড়েন। এরপর ছেড়েছেন পরিবার। তখন থেকে ভ্রমণই তার জীবন। শুরু থেকেই ইহ‘র স্বপ্ন ছিল বিশ্বভ্রমণের। ২০১৫ সালে হেঁটে তিনি পুরো নেপাল ঘুরেছেন। সময় লেগেছে এক বছর। এরপর তিনি হেঁটেই বিশ্বভ্রমণের পরিকল্পনা করেন। ২৩৫ দিন আগে হেঁটে ইহ কাঠমান্ডু থেকে বিশ্বভ্রমণে বের হন।